Muslin Festival 2016
Complete Set of 2 nos of commemorative postage stamps on the Muslin Exhibition & Muslin Revival Festival – 2016 :
Issued by Bangladesh
Issued on Feb 5, 2016 (২৩ মাঘ, ১৪২২ বঙ্গাব্দ)
Issued for : On the prestigious occasion of ‘Muslin Exhibition and Muslin Revival Festival’ in February-2016, Bangladesh Post has issued two commemorative stamps of Tk. 10, and of Tk. 5, and a first day cover of Tk. 10 (ten) only, a data card of Tk. 5 and a special canceller.
দেশবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই মর্যাদাপূর্ণ “মসলিন উৎসব-২০১৬” উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ নকশা-অলংকৃত প্রাচীন আমলের মসলিন বস্ত্রের চিত্র দিয়ে ১০/- (দশ) ও ৫/- (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাক টিকিট, ১০/- (দশ) টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫/- (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের একটি ডেটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করছে।
Designer : Shafiq Saheen
নকশাবিদ : সফিক শাহীন
Type : Stamps, Mint Condition
No. of Stamps : 2 (Two)
স্মারক ডাকটিকিটের সংখ্যা : ২ (দুই) টি
Colour : Multicolour
রং : বহুরং বিশিষ্ট
Denomination of Stamps : Tk. 5/- (Five) & Tk. 10/- (Ten)
স্মারক ডাকটিকিটের মূল্যমান : ৫/- (পাঁচ) টাকা & ১০/- (দশ) টাকা
Size of Stamps : 32 m.m. x 42 m.m.
স্মারক ডাকটিকিটের আকার : ৩২ মি.মি. x ৪২ মি.মি.
Perforation of Stamp : 12.5 micron
স্মারক ডাকটিকিটের ছিদ্রক দূরত্ব : ১২.৫ মাইক্রোন
Qnt. of Stamps : 6,00,000 pcs (Each 3 Lac pcs)
ডাকটিকিটের পরিমাণ : ৬,০০,০০০ পিস (প্রতিটি ৩ লক্ষ পিস)
No. of Stamps in each sheet : (80 + 80) = 160 (One Hundred Sixty pcs)
প্রতি শীটে ডাকটিকিটের সংখ্যা : (৮০ + ৮০) = ১৬০ (একশত ষাট) পিস
Process of Printing : Offset
মুদ্রণ প্রক্রিয়া : অফসেট
Printer : The Security Printing Corporation (Bangladesh) Ltd., Gazipur
মুদ্রাকর : দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাং) লিঃ, গাজীপুর
About :
- Muslin is a bright Chapter in the history of Bengal. Muslin of Dhaka cut a glance to the world for some centuries before the birth of Christ. This finest ancient cloth made by the weavers of Bengal especially introduced this country during Mughal rule all over the world. The best quality of cotton was grown here and for centuries, the finest muslin cloth has been woven around Dhaka. It is known from the writing of Greek historian and China travelers, the muslin of Bengal was exported to Rome and China. The merchants from Arab, Iran, African, Armenia, China, Java and different countries of Europe had been crowded in the then capital of Bengal, Sonargaon and Jahagirnagar as buyers of Muslin production. Seeing the finest quality of Muslin the European merchant and Rulers become highly astonished.
- Unfortunately, the vibrant muslin industry of Bengal and other parts India sharply declined during the British era; and, by the middle of the 19th century, Muslin became a relic to be collected and preserved by the museums. However, it is possible to resurrect Muslin and restore its lost glory. Regeneration of cotton that was suitable for spinning yarn for Muslin. Revival of the fine technique of weaving is challenging but not impossible. However, what is needed foremost of all is creation of social awareness in this regard. If the society demands revival of Muslin then all of challenges can be removed within a short span of time.
- Following the directives of the Honorable Prime Minister for salvaging the proud heritage of the nearly extinct muslin of Bangladesh National Museum organizing the ‘Muslin Exhibition and Muslin Revival Festival’ in February-2016.
- বাংলার বস্ত্র শিল্পের ইতিহাসে মসলিন একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। খ্রিষ্টের জন্মেরও কয়েক শত বছর আগে ঢাকাই মসলিন পৃথিবীকে তাক লাগিয়েছিল। বাংলার তাঁতীদের হাতে তৈরি প্রাচীন এই সূক্ষ্মবস্ত্র বিশেষ করে মোগল আমলে বাংলাকে সারাবিশ্বে পরিচিত করে। বহু শতাব্দী ধরে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্ব্বোৎকৃষ্ট মসলিন বস্ত্র তৈরী হতো। গ্রিক ঐতিহাসিক ও চীনা পর্যটকদের লেখা থেকে জানা যায়, বাংলার মসলিন রোম ও চীন সাম্রাজ্যে রপ্তানি হতো। বাংলার তৎকালীন রাজধানী সোনারগাঁও এবং জাহাঙ্গীরনগরের মসলিনের ক্রেতা হিসেবে আরব, ইরান, আফ্রিকা ও আর্মেনিয়া, চীন, জাভা ও ইওরোপের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা ভীড় করতো। ইওরোপীয় বণিক ও শাসকরা বাংলার মসলিনের উচ্চমান দেখে আশ্চর্যান্বিত হতো।
- কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এদেশে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে মসলিনের দ্রুত অবনতি হয় এবং উনিশ শতকের মাঝামাঝি এসে মসলিন জাদুঘর এবং বিভিন্ন সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রত্ন সামগ্রীতে পরিণত হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বাস, প্রচেষ্টা চালানো গেলে বাংলার এই হারানো গৌরবের পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। মসলিন তৈরির উপযুক্ত তুলা উৎপাদন এবং মিহি সুতার বুনন কাজটি খুবই কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। এর জন্য এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টগণসহ সমাজের সকলের আগ্রহ ও সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন দেশবাসী যদি চায় তবে মসলিনের পুনরুজ্জীবন অবশ্যই সম্ভব।
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ্কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া মসলিনের গৌরবময় ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার বিষয়ক নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ‘মসলিন প্রদর্শন ও মসলিন পুনরুজ্জীবন উৎসব’ ২০১৬ আয়োজন করেছে।